গাঁজা প্রস্তুতি

গাঁজা গাছের সায়েন্টিফিক নাম Cannabis Sativa/Indica । ভারতবর্ষের ইতিহাসে গাঁজার ব্যাবহার অনেক পুরান। গাঁজা খাওয়ার/সেবনের ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতি আছে, এগুলোর মধ্যে আমাদের দেশে বহুল প্রচলিত পদ্ধতিটি হচ্ছে কলকেতে খাওয়া।
কলকে বা ছিলিম বাশি নামেও প্রচলিত। প্রস্তুতিপর্বেরর প্রথমে গাঁজা কাটতে হয়। যে তক্তার উপর কাটা হয় তাকে বলে প্রেমতক্তি। সাধারণত তিনবার গাঁজা কাটা হয় মিহি করার জন্য এবং কাটার পূর্বে এরসাথে আলাপাতা মেশানো হয়। পানের দোকানে আলাপাতা সহজেই কিনতে পারা যায়। ব্লেড দিয়েও গাঁজা কাটা সম্ভব আবার কাঁটনি দিয়েও। যে কাঁটনি দিয়ে এটি কাটা হয় তাকে বলে রতনকাঁটারি। কাঁটা শেষ হলে বাশিতে গাজা ভরা হয়। ভরার পূর্বে টিকলি ঠিকমত আছে কিনা দেখে নেয়া হয়, টিকলি হচ্ছে তিন/চারকোণা ইটের টুকরো যা বাশির নিচের দিকে ঢুকানো থাকে যাতে করে গাঁজা বা আগুন বাশির নিচ দিয়ে পড়ে না যায়। সবশেষে বাশির বাইরের নিচের অংশ একটুকরো কাপড় দিয়ে জড়ানো হয় যাকে বলে শাফি বা জামিয়ার। ইন্ডিয়াতে শাফি হিসেবে ভেজা কাপড়ের চল থাকলেও আমাদের দেশে শুকনো কাপড়ই ব্যাবহৃত হয়। বাশিতে আগুন জ্বালানোর জন্য নারিকেলের ছোবা দিয়ে বলের মত বানিয়ে আগুনে পোড়ানো হয় এবং বাশিতে গাজার উপর রাখা হয়। বাশির নিচেরদিকে শাফির অংশের দিক হতে ধোঁয়া টানা হয়।
কিছু এটিকেট :
১. গাঁজার আসরে বাশি সবসময় হাতের ডানদিক থেকে ঘুরানো হয়।
২. শাফিতে মুখস্পর্শ না করে বাশি টানতে হয়।
বিদ্র: এই পোস্টের মাধ্যমে শুধুমাত্র আমাদের সংস্কৃতিতে গাঁজার ব্যাবহার নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। কাউকে এ বিষয়ে উৎসাহিত করা লেখকের উদ্দেশ্য নয়।

Comments

Post a Comment

Popular posts from this blog

তোমায় দিলাম (মহীনের ঘোড়াগুলি)

অ্যান্ড্রয়েডে পাইথন!